ইন্টারনেট
বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধ
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সাইবার-যুদ্ধটি
হয়ে দাঁড়িয়েছিল আলোচনার এক বিশাল কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশের কয়েকটি সরকারি
সংস্থার ওয়েবসাইট ভারতীয় হ্যাকারদের দ্বারা হ্যাক হওয়ার পর ভারতীয়
ওয়েবসাইটে পাল্টা হ্যাকিং শুরু করে ‘বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’
নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ। এভাবেই শুরু হয়েছিল সাম্প্রতিক ‘সাইবার-যুদ্ধ’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের এ সাইবার-যুদ্ধের বিষয়টি বেশ
গুরুত্ব দিয়েই প্রচার করা শুরু করেছিল। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ১০ দিনে
ঘটে যাওয়া পাল্টাপাল্টি হ্যাকিংয়ের এ বিষয়টা কতটা যৌক্তিক? এ প্রসঙ্গে
প্রথম আলো অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির
প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা জব্বার, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস
প্রেসিডেন্ট ও বিডিকম অনলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির ও
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস)
সভাপতি মাহবুব জামান। তাঁরা তিনজন ‘সাইবার-যুদ্ধ’ না চালিয়ে নিজেদের
ওয়েবসাইটগুলোকে সুরক্ষিত করার পরামর্শই দিয়েছেন।
হ্যাকিংয়ের পেছনে কী কারণ
‘ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’ বিভিন্ন সময় ভারতের ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করে সেগুলোর ঠিকানা বা স্ক্রিন শট ফেসবুকে পোস্ট করছে। ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারসের পক্ষ থেকে ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার কারণটি বলা হয়েছে। হ্যাকাররা ভিডিওতে বলেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হত্যাকান্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সাইবার যুদ্ধ চলবে। এ ছাড়া হ্যাকার গ্রুপটির পক্ষ থেকে ভিডিওতে জানানো হয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও হ্যাকিংয়ের একটি অন্যতম কারণ।
সাইবার-যুদ্ধ: ইন্ডিশেল বনাম ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারসহ্যাকিংয়ের পেছনে কী কারণ
‘ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’ বিভিন্ন সময় ভারতের ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করে সেগুলোর ঠিকানা বা স্ক্রিন শট ফেসবুকে পোস্ট করছে। ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারসের পক্ষ থেকে ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার কারণটি বলা হয়েছে। হ্যাকাররা ভিডিওতে বলেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হত্যাকান্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সাইবার যুদ্ধ চলবে। এ ছাড়া হ্যাকার গ্রুপটির পক্ষ থেকে ভিডিওতে জানানো হয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও হ্যাকিংয়ের একটি অন্যতম কারণ।
ভারতের ‘ইন্ডিশেল’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশি সরকারি সংস্থার কয়েকটি ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর শুরু হয়েছিল এ সাইবার-যুদ্ধ। এরপর মাঠে নামে ‘ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’। তাদের সহযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ‘থ্রিএক্সপায়ারথ্রি সাইবার আর্মি’ ও ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’ নামের আরও দুটি গ্রুপ। তবে, সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস পরিচিতি পায় বেশি । সাইবার-যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে এ সংগঠনটি তাদের আপডেট করতে থাকে ফেসবুকে। গ্রুপটি এ নামে ফেসবুকে একটি পেজও খুলেছে। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে হ্যাকিং বিষয়ে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালাতে থাকে ‘ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’ । আর বিভিন্ন সাইট ব্যবহার করে হ্যাকিং বিষয়ে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বিলি করে ও ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যায়। এদিকে ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপও বসে নেই। তবে, ইন্ডিশেল ছাড়া আর কোনো পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় হ্যাকাররা।
ভারত কী করছে
ভারতীয় রাজ্য সরকারের বেশ কিছু ওয়েবসাইটসহ অসংখ্য ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ভারতীয় পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভারতীয় পরিচয়ে হ্যাকাররা বাংলাদেশের সরকারি কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করার পরই ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করতে শুরু করে। ইয়াহু নিউজ এক খবরে জানিয়েছে, বাংলাদেশী পরিচয়ে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস দাবি করেছে ভারতীয় হ্যাকারদের ৪০০ ওয়েবসাইট হ্যাকের জবাবে তারা ২০ হাজার ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। তবে হ্যাকিং বিষয়টি নিয়ে ভারত বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অফিশিয়াল কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
দক্ষিণ ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডেকান ক্রনিকলের তথ্য অনুসারে, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপ দাবি করেছে, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদে তাঁরা এ কাজ করেছে। ফেসবুকের এই গ্রুপের একটি ফ্যান পেজে এক হ্যাকার লিখেছেন ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নেই। কিন্তু বিএসএফের বর্বরতা ও সর্বোপরি ভারত সরকার এটা করতে আমাদের বাধ্য করেছে।’ পত্রিকাটি জানিয়েছে, অপর একটি পোস্টে এক হ্যাকার লিখেছেন, ‘ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সমর্থন করেছে। এখন তারা আমাদের হত্যা করছে। একজন ভন্ড বন্ধুর চেয়ে একজন প্রকাশ্য শত্রু ভালো।’
সাইবার-যুদ্ধ চলছে
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস দলের একটি ই-মেইলে পাঠানো হয় দেশের প্রায় সব মিডিয়া হাউজ গুলোত। যেখানে বলা হয়েছে, ‘এ আক্রমণ চলতেই থাকবে।’ ওই মেইলে কোনো সাইট হ্যাক হলে বা হ্যাকিং ঠেকাতে ওয়েব মাস্টারদের করণীয় কী হবে তার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
ডেকান ক্রনিকল, দক্ষিণ ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক জানিয়েছে, ভারতের ‘ইন্ডিশেল’ হ্যাকার দল বাংলাদেশি সাইটগুলোতে হ্যাকিং চালাচ্ছে। ভারতীয় হ্যাকারদের দাবি অনুসারে, তারা বাংলাদেশের ৩০০ সাইট হ্যাক করেছে। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি জানিয়েছে, বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপগুলো ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। পাল্টাপাল্টি এই হ্যাকিংয়ে বাংলাদেশি হ্যাকাররা ছাড়াও অন্যান্য দেশের হ্যাকাররাও সক্রিয় হয়েছে বলে এনডিটিভি এক খবরে জানিয়েছে। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইটের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণেই হ্যাক করা সহজ হচ্ছে। তাই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা জরুরি।
আন্তর্জাতিক হ্যাকিং প্রেক্ষাপট
অনলাইন নিরাপত্তা-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সাফোস’-এর তথ্য অনুসারে গত বছর থেকে হ্যাকাররা সক্রিয় হয়েছে বেশি। চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী হ্যাকিংয়ের মাত্রা আরও বাড়বে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন হ্যাকার দল তাদের নিজ নামে পরিচিতিও পেয়েছে। সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ‘অ্যানোনিমাস’। এ হ্যাকার দলটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিখ্যাত সব ওয়েবসাইট হ্যাক করে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেছে। হ্যাকারদের সমর্থন ও সমালোচনাও জুটেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে হ্যাকিং ঠেকাতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সাইবার নিরাপত্তাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। বাংলাদেশি ও ভারতীয় হ্যাকারদের মধ্যে এই সাইবার যুদ্ধে অ্যানোনিমাসের নামও এসেছে। তবে অ্যানোনিমাস কোনো পক্ষ নিয়েছে তা নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রেসিডেন্ট মু¯Íফা জব্বার জানিয়েছেন, ‘আমি হ্যাকারদের সম্মান করি। তবে, “সাইবার-যুদ্ধ” বলে যা বলা হচ্ছে সেটি আসলে কোনো অর্থ বহন করে না। শুধু ভারত নয়, কোনো দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর আক্রমণ চালানো হলে আমি তার বিপক্ষে। কারণ, শত্রুতা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। হ্যাকারদের দাবি অনুসারে যে ২০ হাজার সাইট হ্যাক করা হয়েছে সেগুলোর ক্ষতি করে আমাদের কী অর্জন হচ্ছে? যে কারণে এ হ্যাকিং চালানো হচ্ছে তার উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এটা আসলে রাজনৈতিক এক ইস্যু। এর সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে। তথাকথিত যুদ্ধ জয়ে আমাদের কোনো সম্ভাবনা বাড়ছে না; বরং আমরা প্রযুক্তিতে সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। আমাদের প্রযুক্তি খাত এখনো ততটা বড় নয়। আশঙ্কার কথা হচ্ছে যে হ্যাকিং টিউটোরিয়াল বা টুলগুলো সবার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সেগুলোর অপব্যবহার হতে পারে। সেগুলো আমাদের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সচেতনভাবে এ সাইবার-যুদ্ধকে আমি সমর্থন করছি না। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় না মেতে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতির কথা ভাবতে হবে।’
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিডিকম অনলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির হ্যাকিং প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘হ্যাকিং নিয়ে অনেক জল ঘোলা হচ্ছে। ঠিক যুদ্ধ নয়, তবে ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছে এটা সত্যি। বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয় বা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। আমাদের দেশের হ্যাকাররাও এখন বিশ্বমানের হ্যাকারদের সমপর্যায়ের। সাম্প্রতিক ঘটনায় হ্যাকারদের মধ্যে আবেগ লক্ষ করা গেছে, তবে তাদের ক্ষেত্রে অনেক মহল থেকে সমর্থনও রয়েছে এ বিষয়টা লক্ষ করা গেছে। আমাদের অনলাইন ডেটাবেজ এখনো খুব ছোট আকারের, তাই আমরা খুব একটা ঝুঁকির মধ্যেও নেই। ভবিষ্যতে হয়তো আমরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্য পড়তে পারি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমাদের উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এখন পুরো বিশ্বে হ্যাকিং বিষয়টা বেড়ে গেছে। আমাদেরও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। ভারতের হ্যাকারদের পক্ষ থেকে আমাদের এখন সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। দরকার হচ্ছে, সরকারি ও নিজস্ব ওয়েবসাইটগুলোকে আরও নিরাপদ ও ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। জয়-পরাজয় নয়, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা। বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপটির সঙ্গে যে বিদেশি হ্যাকারদের যোগ দেবার কথা শোনা যাচ্ছে তা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সমমনা গ্রুপগুলো পক্ষ নিতেই পারে।’
বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তার জন্য একটি মান দাঁড় করাতে হবে। পেশাদার ডেভেলপারদের দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। হ্যাকিং সাধারণত সেসব ওয়েবসাইটেই হয় যেগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। তাই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়ানো জরুরি।
জান্নাতুস সাদিয়া
brishty.sadia@yahoo.com
চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫১ কোটির বেশী
চীনে গত বছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৬০ লাখ বৃদ্ধি
পেয়ে ৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক উইবো বা মাইক্রোবøগ
ব্যবহার করে থাকে। সোমবার প্রকাশিত এক সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ কথা জানা
যায়।
চীন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (সিএনএনআইসি) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১১ সালে চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫১ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা বিশ্বের একক কোন দেশের সর্বোচ্চ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এ সংখ্যা ২০১০ সালের তুলনায় ১২.২ শতাংশ বেশি।
মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৪৮.৭ শতাংশ বা প্রায় ২৫ কোটি উইবো ব্যবহার করে থাকে। ২০১০ সালে উইবো ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ছয় কোটি ৩১ লাখ।
দুর্নীতি, গুজব ও বিভিন্ন দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে উইবো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।
সিএনএসআইসি’র জানায়, গত বছর বিভিন্ন পলøী এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে এসব এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ কোটি ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর বেইজিংয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
চীন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (সিএনএনআইসি) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১১ সালে চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫১ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা বিশ্বের একক কোন দেশের সর্বোচ্চ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এ সংখ্যা ২০১০ সালের তুলনায় ১২.২ শতাংশ বেশি।
মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৪৮.৭ শতাংশ বা প্রায় ২৫ কোটি উইবো ব্যবহার করে থাকে। ২০১০ সালে উইবো ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ছয় কোটি ৩১ লাখ।
দুর্নীতি, গুজব ও বিভিন্ন দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে উইবো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।
সিএনএসআইসি’র জানায়, গত বছর বিভিন্ন পলøী এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে এসব এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ কোটি ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর বেইজিংয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
এনসিসি ব্যাংক লি: গ্রাহকদের জন্য ই-ব্যাংকিং সেবা চালু করতে যাচ্ছে
এনসিসি ব্যাংক লি: গ্রাহকদের জন্য ই-ব্যাংকিং সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এ
লÿ্যে সম্প্রতি এসসিসি ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানী
এস.এস.এল ওয়্যারলেস -এর সাথে একটি চুক্তি স্বাÿর করেছে। এনসিসি ব্যাংক লি:
এর চেয়ারম্যান মো: নুরুল নেওয়াজ সেলিম এর উপস্থিতিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এবং এস.এস.এল ওয়্যারলেস-এর ব্যবস্থাপনা
পরিচালক সাইফুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পÿে চুক্তিতে স্বাÿর করেন।
এ চুক্তির ফলে এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড এর গ্রাহকগণ যে কোন মোবাইল নম্বর থেকে ৬৯৬৯ নম্বরে এস.এম.এস করে তাদের ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স, এলার্ট এস.এম.এস এবং মিনি স্টেট্মেন্ট সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।
চুক্তি স্বাÿর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড -এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ, কনসালট্যান্ট এ কে মো: সিদ্দিক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি.এম. ফারুক চৌধুরী ও আখতার হামিদ খান এবং এসএসএল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মহাব্যবস্থাপক আনিসুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশীষ চক্রবর্তী সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড এর গ্রাহকগণ যে কোন মোবাইল নম্বর থেকে ৬৯৬৯ নম্বরে এস.এম.এস করে তাদের ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স, এলার্ট এস.এম.এস এবং মিনি স্টেট্মেন্ট সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।
চুক্তি স্বাÿর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড -এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ, কনসালট্যান্ট এ কে মো: সিদ্দিক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি.এম. ফারুক চৌধুরী ও আখতার হামিদ খান এবং এসএসএল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মহাব্যবস্থাপক আনিসুল ইসলাম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশীষ চক্রবর্তী সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।